বাংলাদেশে ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে এই বছরের লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত।

এই বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড এবং মাদ্রাসা বোর্ড মিলিয়ে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন, যা শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

এবারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে। সরকার বলছে, যাতে কোনোভাবেই প্রশ্নফাঁস বা নকলের সুযোগ না থাকে, সে লক্ষ্যেই কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

🔹 পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ বাধ্যতামূলক।
🔹 নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করলে নাম, রোল, সময় ও কারণ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে বোর্ডে জানাতে হবে।
🔹 ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য পূরণ করতে হবে, ভুল হলে বাতিল হতে পারে উত্তরপত্র।
🔹 উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না, এতে সমস্যা হতে পারে স্ক্যানিংয়ে।
🔹 মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, শুধু কেন্দ্রসচিব নির্দিষ্ট ধরনের মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন।
🔹 বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল অংশের মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না—একটানা চলবে পরীক্ষা।
🔹 ব্যবহারিক ও লিখিত অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
🔹 শিক্ষার্থী কেবলমাত্র প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

পরীক্ষার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও থাকবে কড়া নজরদারি, যাতে গুজব, প্রশ্নফাঁস বা বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে।

পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।