জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যুতে আবারও সরব হলো পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক আইন, গণভোট ও সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে ভারতের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ছিল না এবং ভবিষ্যতেও তা হবে না—জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এমনই স্পষ্ট ও কড়া অবস্থান জানাল পাকিস্তান। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) নিরাপত্তা পরিষদের এক আলোচনায় পাকিস্তান মিশনের কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক সমন্বয়কারী গুল কায়সার সারওয়ানি বলেন, কাশ্মীর একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিতর্কিত অঞ্চল, যা শুধুমাত্র পাকিস্তান-ভারতের বিষয় নয়—বরং এটি জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ দায়িত্বের আওতাভুক্ত।
Further Statement (RoR) by Gul Qaiser Sarwani,
Counsellor/Political Coordinator at Pakistan Mission,
In Response of the Indian Representative
At UNSC Open Debate on Leadership for Peace
(15 December 2025)
****Madam President,
Pakistan takes the floor to respond to the remarks… pic.twitter.com/X7rsNuy0kW
— Permanent Mission of Pakistan to the UN (@PakistanUN_NY) December 16, 2025
নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে সারওয়ানি বলেন,
“আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই—কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়, ছিল না এবং কখনো হবে না।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ভারত নিজেই এক সময় কাশ্মীর ইস্যুটি জাতিসংঘে উত্থাপন করেছিল এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণকে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে প্রায় আট দশক পার হয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রতিনিধি আরও বলেন, গণভোট আয়োজনের পরিবর্তে ভারত কাশ্মীরে বিপুল সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। এর মাধ্যমে মৌলিক মানবাধিকার দমন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ এবং ভূখণ্ডের জনসংখ্যাগত চরিত্র পরিবর্তনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে—যা আন্তর্জাতিক আইন ও দখলদার শক্তি হিসেবে ভারতের আইনি বাধ্যবাধকতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এসময় সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়েও ভারতের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন সারওয়ানি। তিনি বলেন, ভারতের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও পদক্ষেপ তথ্যের ইচ্ছাকৃত বিকৃতি এবং একটি বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তির ভুল ব্যাখ্যা ছাড়া কিছু নয়।
তার ভাষায়,
“সিন্ধু পানি চুক্তির কোনো ধারাই একতরফাভাবে স্থগিত, পরিবর্তন বা কার্যত অকার্যকর করার অনুমতি দেয় না। এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিক স্বার্থে আন্তর্জাতিক চুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের শামিল।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বাড়ে। ওই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক জটিলতা আরও তীব্র হয়।
পাকিস্তানের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আবারও আকর্ষণ করার চেষ্টা স্পষ্ট বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্যসূত্র: জিও নিউজ








Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.