হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বক্তব্য দিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় তিনি তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের। বাইডেনের দাবি, ক্ষমতা নেওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে গভীর সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে নতুন প্রশাসন।
সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রোগ্রামে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে বাইডেন বলেন, “ফেডারেল কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীরা সমস্যায় পড়ছেন—নিজেদের অ্যাকাউন্টেও প্রবেশ করতে পারছেন না।”
তিনি আরও বলেন,
“নতুন প্রশাসন আগে গুলি ছুঁড়ছে, পরে লক্ষ্য ঠিক করছে। এই বিশৃঙ্খলা শুধু বিভ্রান্তি নয়, হাজারো মানুষের চাকরি কেড়ে নিয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ভয়াবহ ক্ষতি করেছে।”
বাইডেনের বক্তব্যের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বর্তমান সরকারের সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রশাসন। এক্স (সাবেক টুইটার)–এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারা অভিযোগগুলোকে “মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর” বলে অভিহিত করে।
প্রতিবাদী বার্তায় প্রশাসন দাবি করে, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও কল-সেন্টার পরিষেবা উন্নত করা হচ্ছে। প্রযুক্তি বিভাগে কর্মী ছাঁটাই হয়নি এবং কোনো স্থানীয় কার্যালয়ও বন্ধ করা হয়নি।”
এদিকে, সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ৩০টিরও বেশি বিদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধ করার পরিকল্পনা ছিল। তালিকায় রয়েছে মাল্টা, লুক্সেমবার্গ, দক্ষিণ কোরিয়া, কঙ্গো, দক্ষিণ সুদানসহ একাধিক দেশ। পররাষ্ট্র দপ্তরের পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
সরকারি ব্যয় কমাতে এবং কাঠামো ঢেলে সাজাতে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই) এই ছাঁটাই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছে বলেও উঠে এসেছে সেই প্রতিবেদনে।
Leave a Reply