গাজায় আটক এক মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মিকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। তাদের ভাষ্যমতে, ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ওই দলের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
হামাসের মুখপাত্র আবু ওবাইদা এক বিবৃতিতে জানান, ২১ বছর বয়সী ইসরায়েলি-আমেরিকান সেনা এডান আলেকজান্ডারকে আটককারী দলের ওপর সরাসরি হামলা হয়েছে, যার ফলে ওই দলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “আমরা তাদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছি।”
প্রসঙ্গত, আলেকজান্ডারকে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে জীবিত দেখা গেছে, যেখানে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নিজ মুক্তির জন্য সহায়তা চান।
ইসরায়েল গত সপ্তাহে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, যার প্রথম দিনেই আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে হামাস সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
এদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বরাবরই বলে এসেছে, তারা এমন কোনো স্থানে হামলা চালায় না যেখানে জিম্মিদের উপস্থিতির আশঙ্কা থাকে। হামাস কখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় জানায়নি এবং এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণও দেয়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবরের সংঘাতে হামাস গাজায় অন্তত ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়, যাদের মধ্যে এখনো ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন মার্কিন নাগরিক, তবে আলেকজান্ডারই সম্ভবত একমাত্র জীবিত বন্দি।
সম্প্রতি হামাস জিম্মিদের পরিবারদের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে সতর্ক করেছে, যদি গাজায় ইসরায়েল সামরিক অভিযানে অটল থাকে, তবে তারা মৃতদেহ ফেরত পাবে।
Leave a Reply