1. arshinagargroup75@gmail.com : ratul :
  2. abclimited2020@gmail.com : Eng. Firoz-Uz Zaman (MD) : Eng. Firoz-Uz Zaman (MD)
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন

গণঅভ্যুত্থানেও সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই: তারেক রহমান

নিউজডেস্ক
  • Update Time : বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ Time View

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে মৃত্যু ও মিথ্যা মামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরাই। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন।

তারেক রহমান লিখেছেন, গত ১৬ বছর বাংলাদেশ যেন এক অন্ধকার অধ্যায়ের মধ্যে ছিল। কেউ তীব্রভাবে সেই পরিবেশ টের পেয়েছে, কেউ আবার নীরবে সহ্য করেছে। তবে যাদের রাজনৈতিক অবস্থান ছিল তৎকালীন সরকারের বিপরীতে, তাদের জন্য এই অন্ধকার ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা, রাতে দরজায় কড়া নাড়া, মিথ্যা মামলা, ভয়কে সংস্কৃতি বানিয়ে ফেলা এবং হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য মানুষের পরিবারের অপেক্ষা।

তিনি বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে মৃত্যু থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলা—সব ক্ষেত্রেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও সবচেয়ে বেশি মানুষের রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই।

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, শুধু বিএনপি নয়—ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক, সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ছিল হুমকির মুখে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তাঁকেও কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। পত্রিকা, টিভি কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কোনো বক্তব্য প্রকাশ না করার নির্দেশনা ছিল। তারপরও তিনি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই থামাননি, কারণ সত্যকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।

স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, এই অন্ধকার সময়ে খালেদা জিয়া ছিলেন ধৈর্য ও প্রতিরোধের প্রতীক। মিথ্যা মামলা ও কারাবাস—সব কিছু সত্ত্বেও তিনি গণতান্ত্রিক আদর্শ থেকে সরে যাননি। তাঁর বিশ্বাস, অধিকার সবার; ভয় দেখিয়ে দেশ এগোতে পারে না।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, তাঁর মা খালেদা জিয়া নিজ হাতে সহ্য করেছেন সন্তানের কারাবাস ও নির্যাতনের যন্ত্রণা। আরেক সন্তানকে হারানোর শোকও বহন করেছেন। দেশের হাজারো ভুক্তভোগী পরিবারের মতো তাদের পরিবারও ছিল লক্ষ্যবস্তু।

তারেক রহমান বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করে কষ্ট মানুষকে কখনো তিক্ত করে, আবার কখনো মহান করে তোলে। খালেদা জিয়া দেখিয়েছেন—ন্যায়, নৈতিকতা ও ক্ষমাশীলতার পথই ভবিষ্যৎ বদলায়।

তিনি আরও লেখেন, এখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ একটি সমাজ—যেখানে সবার মানবাধিকার নিশ্চিত থাকবে, যেখানে ভিন্নমত গণতন্ত্রের অংশ হবে, ভয় বা নিপীড়নের কারণ নয়। বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি নয়, সমাধানের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কোনো বাংলাদেশিকেই রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না—সে সরকারপন্থী হোক বা বিরোধী।

তিনি মানবাধিকার দিবসের কথা স্মরণ করে বলেন, আবরার ফাহাদ, মুশতাক আহমেদ, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাগর-রুনি সহ অসংখ্য নিপীড়নের শিকার মানুষের গল্প স্মরণে রাখতে হবে—যেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

শেষে তিনি বলেন, বিএনপি অনেক ক্ষতি সহ্য করেছে, কিন্তু ভেঙে পড়েনি। বরং সত্য, ন্যায়, জবাবদিহি, আইনের শাসন ও পুনর্মিলনের বিশ্বাসকে আরও শক্ত করেছে। দলের লক্ষ্য এমন বাংলাদেশ গড়া, যেখানে প্রতিটি মানুষের কণ্ঠ, অধিকার ও জীবন মূল্যবান—মানবাধিকারই হবে ভবিষ্যতের ভিত্তি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category
© All rights reserved © arshinagar tv 2025
Design & Develop BY Coder Boss