ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩তম বার্ষিকীতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় আজ (শনিবার) ‘বাবরি মসজিদ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। এ উদ্যোগকে কেন্দ্র করে রাজ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ঠেকাতে আদালত কোনো হস্তক্ষেপ করবে না; ফলে অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনি বাধা নেই।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থ সারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে— রাজ্য সরকারকে অবশ্যই এলাকায় কঠোর আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে এবং সাধারণ মানুষের জীবন–সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানিয়েছেন, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঠেকাতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। সিআইএসএফের ১৯টি কোম্পানি বর্তমানে এলাকায় অবস্থান করছে। র্যাফ (RAF) সহ প্রায় ৩,৫০০ সদস্য শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই রেজিনগর ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন। জাতীয় সড়ক–১২ এর নিরাপত্তায় বিএসএফের দুটি কোম্পানি প্রস্তুত
এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকেই বোঝা যায়— সম্ভাব্য উত্তেজনা নিয়ে প্রশাসন কতটা সতর্ক।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়। সেই দিনের স্মৃতিকে সামনে রেখেই হুমায়ূন কবীর আজ বেলডাঙায় ‘বাবরি মসজিদের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন নির্ধারণ করেছেন।
হুমায়ূন কবীর জানিয়েছেন, দুপুর ১২টায়২ ঘণ্টা কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে কোনো বক্তৃতা থাকবে না। থাকবে না রাজনৈতিক ব্যানার-পোস্টার রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিও নিষিদ্ধ করেছেন। শুধু ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে উপস্থিত থাকবেন তিনি
বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিতেই হুমায়ূন কবীরকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে তিনি জানান, আগামী ২২ ডিসেম্বর নিজস্ব একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করবেন।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এই ইস্যু এখন তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে; আর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারও সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.