1. arshinagargroup75@gmail.com : ratul :
  2. abclimited2020@gmail.com : Eng. Firoz-Uz Zaman (MD) : Eng. Firoz-Uz Zaman (MD)
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

ইউক্রেনকে ১০৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তায় রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের প্রস্তাব ইইউর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১২ Time View

ইউক্রেনকে সহায়তায় ৯০ বিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ১০৫ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। এ অর্থ সংগ্রহে জমাকৃত রুশ সম্পদ ব্যবহার অথবা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইইউ। তবে মূল স্টেকহোল্ডার বেলজিয়াম এখনো এই পরিকল্পনা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে।

বুধবার ইউরোপীয় কমিশন জানায়—২০২৬ ও ২০২৭ সালে ইউক্রেনের অর্থায়নের চাহিদা পূরণে দুটি বিকল্প প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

  • প্রথম বিকল্প: আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ইইউর নেওয়া ঋণ ইউক্রেনকে দেওয়া

  • দ্বিতীয় বিকল্প (অগ্রাধিকার): ইইউতে জমে থাকা রুশ রাষ্ট্রীয় সম্পদের ভিত্তিতে “রিপারেশন লোন”

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লাইয়েন বলেন—এই তহবিল ইউক্রেনকে তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সহায়তা করবে এবং শান্তি আলোচনায় শক্তিশালী অবস্থান এনে দেবে।

তিনি আরও জানান—
“ইউক্রেনের আগামী দুই বছরের অর্থনৈতিক প্রয়োজনের দুই-তৃতীয়াংশ আমরা বহন করতে চাই। বাকি অংশ আন্তর্জাতিক অংশীদাররা দেবে।”

কমিশনের দাবি—এ পরিকল্পনা রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াবে এবং যুদ্ধবিরতি বা সমঝোতা আলোচনায় অংশ নিতে মস্কোকে উৎসাহিত করবে।

ইইউতে আটক রুশ সম্পদের বড় অংশই ব্রাসেলসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউরোক্লিয়ার–এর কাছে রয়েছে। বেলজিয়াম আশঙ্কা করছে—

  • এই সম্পদ ব্যবহার করলে শান্তি চুক্তির পথে বাধা সৃষ্টি হতে পারে

  • রাশিয়ার পক্ষ থেকে দীর্ঘমেয়াদি (৫০ বছর পর্যন্ত) আইনি মামলা শুরু হতে পারে

  • এসব মামলার খরচের দায় ইইউকেই নিতে হবে

বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভট বলেন—
“রিপারেশন লোন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প। এ ধরনের পদক্ষেপ কখনো নেওয়া হয়নি।”

তারা বিকল্প হিসেবে ইইউ নিজেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

মস্কো এ পরিকল্পনাকে সরাসরি ‘চুরি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক ভিটিবির প্রধান আন্দ্রে কোস্টিন হুমকি দিয়ে বলেন—
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ইইউকে ৫০ বছর ধরে মামলা মোকাবিলা করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এ প্রস্তাব ‘ইতিবাচকভাবে’ গ্রহণ করেছেন বলে জানান ভন ডার লাইয়েন।
যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের যুদ্ধ–সমাপ্তির ২৮ দফা পরিকল্পনায় রুশ সম্পদ ব্যবহারে জটিলতা রয়েছে।

একই দিনে আরেক বড় সিদ্ধান্তে ইইউ জানায়—

  • ২০২৬ সালের শেষে রাশিয়ার এলএনজি আমদানি বন্ধ

  • ২০২৭ সালের নভেম্বরের মধ্যে পাইপলাইন গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ

ইইউর ভাষায়—এটি রাশিয়ার ‘অবিশ্বস্ত জ্বালানি সরবরাহের’ ওপর নির্ভরতা ছিন্ন করার ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

ভন ডার লাইয়েন বলেন—
“আজ ইউরোপ রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতার যুগকে বিদায় জানাল।”

তবে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে, কারণ তাদের অর্থনীতি এখনো ব্যাপকভাবে রুশ জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

More News Of This Category
© All rights reserved © arshinagar tv 2025
Design & Develop BY Coder Boss