হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা প্রতিদিনই বাড়ছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাথে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরের হিমেল বাতাসে এ অঞ্চলে প্রতি বছরই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে। ঠান্ডা বাড়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দুস্থ, দিনমজুর এবং নিম্ন আয়ের মানুষরা। সকালে ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে শ্রমজীবীরা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কয়েক দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। চলতি মাসে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন কুয়াশায় সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে না পারায় দিনেও হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে।
তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলন করতে আসা শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, “ঠান্ডা পানিতে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। ভোরে কুয়াশা আর শীতের মধ্যে নদীতে নামতে হয়।” জেলা শহরের ভ্যানচালক আব্দুস সামাদ বলেন, “সকালের কুয়াশা ও সন্ধ্যার শীত খুবই কষ্টকর। গরিব মানুষ হিসেবে এই সময় শীতবস্ত্র পেলে অনেক উপকার হতো।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.