জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র প্রভাবের কারণে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হবে দক্ষিণ এশিয়া—এমন সতর্কতা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সোমবার ঢাকায় ‘ঝুঁকি থেকে স্থিতিস্থাপকতা: দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের অভিযোজনে সহায়তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোকে জলবায়ু বিপর্যয়ের ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামি পাঁচ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ সরাসরি চরম জলবায়ু ঝুঁকির মুখে পড়বে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া—সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি উৎপাদন, গ্রামীণ অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান। পাশাপাশি পারিবারিক স্তরেও ঝুঁকি ও দারিদ্র্যের চাপ বাড়বে বহুগুণ।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি প্রক্রিয়া। শক্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও তথ্য সংগ্রহ—সবকিছুতেই অতিরিক্ত বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের নীতি ও পরিকল্পনা থাকলেও সেগুলো বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি জানান, জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে কয়েকটি পাইলট প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে একত্রিত করে আরও কার্যকর পরিকল্পনায় কাজ করা হচ্ছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.