নতুন পে স্কেল বিষয়ে সিদ্ধান্ত বর্তমান সরকার নয়, বরং পরবর্তী নির্বাচিত সরকারই নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “নতুন পে স্কেল বা পে কমিশন নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সরকারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের প্রতি যে সব অর্থনৈতিক শর্ত দিয়েছে, নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সরকার সেসব বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়, তা পর্যালোচনা করেই সংস্থাটি পরবর্তী অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেবে।
বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ড. সালেহউদ্দিন বলেন,
“চালের দাম এখন মোটামুটি সহনীয় রয়েছে, মুদ্রাস্ফীতিও কিছুটা কমেছে। তবে পরিবহন খরচ ও বাড়ি ভাড়া বেড়েছে, সেটি অস্বীকার করছি না। সার্বিকভাবে খাদ্য পরিস্থিতি এখনও সন্তোষজনক।”
বৈঠকে উপস্থিত খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানান, নভেম্বর মাস থেকেই নতুন দরে ধান ও চাল কেনা শুরু হবে।
নির্ধারিত দামগুলো হলো—
ধান: প্রতি কেজি ৩৪ টাকা,
সিদ্ধ চাল: প্রতি কেজি ৫০ টাকা,
আতপ চাল: প্রতি কেজি ৪৯ টাকা।
খাদ্য পরিকল্পনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবার মোট ৫০ হাজার টন আমন ধান, আতপ চাল ৫০ হাজার টন এবং ৬ লাখ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন সরকারের অধীনে পে স্কেল সংস্কারের সম্ভাবনা থাকলেও, বর্তমান সময়ের মূল চ্যালেঞ্জ হবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.