নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আপিল শুনানিতে বিএনপির আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় ছিল জাতির সঙ্গে প্রতারণার সামিল।” তিনি আরও জানান, রায় তত্ত্বাবধায়ক পক্ষে গেলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ঘণ্টাব্যাপী এই শুনানি হয়। এদিন বিএনপি পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে তাদের শুনানি শেষ হয়।
এর আগে জামায়াতে ইসলামী ও সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) পক্ষে করা আপিলের শুনানিও শেষ হয়েছে। আজ থেকেই শুনানি শুরু করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
বিএনপির আইনজীবী কাজল বলেন,
“তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় জাতির সঙ্গে প্রতারণা ছিল। তত্ত্বাবধায়ক ফিরলেও বর্তমান নির্বাচনকালীন সময় বিবেচনায় এবার নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের “ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কারণে” তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেওয়া হয়েছিল।
২০১১ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক।
এরপর ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট সর্বোচ্চ আদালত রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন মঞ্জুর করে আপিলের অনুমতি দেন।
এই আপিল করেছেন —
ড. বদিউল আলম মজুমদার,
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার,
ও আরও কয়েকজন আবেদনকারী।
আইনজীবীরা বলছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল অত্যাবশ্যক, আর এই রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলেও মত দিয়েছেন তারা।