বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতেও নিজেদের ছন্দ হারিয়েছে টাইগাররা। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে সিরিজ শেষ করলো লিটন দাসের দল।
সিরিজের শেষ ম্যাচে (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয়। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩ বল হাতে রেখে লক্ষ্য টপকে যায়। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে ভুগেছে টাইগাররা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লিটন দাস বলেন,
“আমরা প্রায় দুই–আড়াই মাস ধরে টানা ক্রিকেট খেলছি, কোনো বিরতি নেই। আমি মনে করি, মাঝেমধ্যে বিরতিও খুব দরকার। এখন সামনে একটা বিরতি আছে, আশা করি এটা আমাদের রিফ্রেশ করবে। নতুন করে শুরু করতে পারব।”
তার মতে, টানা ব্যস্ত সূচির কারণে দলের অনেক খেলোয়াড়ই মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে তাদের পারফরম্যান্সেও এর প্রভাব পড়ছে।
তানজিদ তামিমের ৮৯ ও সাইফ হাসানের ২৩ রানের ইনিংস ছাড়া তৃতীয় ম্যাচে আর কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ব্যাটিং বিপর্যয়ের এই ধারাবাহিকতা নিয়ে লিটন বলেন—
“চিন্তার কিছু দেখি না। যারা দলে আছে তারা সবাই প্রুভেন ব্যাটার। অনেক দিন ধরে খেলছে। মাঝে মধ্যে এক–দুইটা সিরিজ খারাপ যেতেই পারে।”
বিশ্ব ক্রিকেটে আধুনিক ব্যাটিং কৌশল সম্পর্কে লিটন বলেন—
“আমাদের ব্যাটসম্যানদের স্কিল বাড়াতে হবে। সব ধরনের শট খেলতে জানতে হবে। আমরা খুব কম ব্যাটারই রিভার্স সুইপ খেলি, অথচ এখনকার ঘূর্ণি উইকেটে এটা খুব কার্যকর। বিশ্ব ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে, আমরা এখনও একটু পিছিয়ে আছি। এই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে।”
সিরিজ শেষে স্বল্প বিশ্রামের পর নতুন সূচিতে নামবে বাংলাদেশ দল। লিটন আশা করছেন, এই বিরতি দলের জন্য ইতিবাচক মোড় আনবে—
“সবাই একটু বিশ্রাম পাবে, মন সতেজ হবে। আশা করি সামনে ভালো কিছুই হবে।”