রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের আরও একটি এলাকা এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় এই ঘোষণা দেয় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসাথে তারা জানায়, ইউক্রেনীয় ১৪০টি ড্রোন, ছয়টি হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র এবং চারটি গাইডেড বোমা ধ্বংস করেছে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।
অন্যদিকে, ইউক্রেনও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে রাশিয়ার ওরেনবার্গ প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার পর্যন্ত তারা রাশিয়ার ১৩৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “টমাহক মিসাইল সরবরাহ সহজ হবে না, ইউক্রেনকে কিছু ছাড় দিতে হতে পারে।” তিনি জানান, ওয়াশিংটন এখনো ইউক্রেনে দীর্ঘ-পাল্লার টমাহক মিসাইল পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধান প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ফিল্ড মার্শাল ডেভিড রিচার্ডস বলেন, “বড় পশ্চিমা সহায়তা থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনের রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয় অসম্ভব। পশ্চিমারা শুধু ইউক্রেনকে উৎসাহ দিয়েছে, কিন্তু জয়ের মতো সক্ষমতা দেয়নি। একমাত্র সমাধান হতে পারে ন্যাটোর সরাসরি হস্তক্ষেপ।”
অন্যদিকে, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান জানিয়েছেন, দেশটি পুতিন-ট্রাম্প শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে প্রস্তুত, কারণ “ইউরোপে একমাত্র হাঙ্গেরিই এখনো শান্তির পক্ষে অবিচল অবস্থানে আছে।”