গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও আগ্রাসন থামেনি ইসরাইলের। চুক্তি কার্যকরের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে তেল আবিব, এতে নিহত হয়েছেন ৩৮ ফিলিস্তিনি। এ অবস্থায় গাজার একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যা নতুন করে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে।
গাজা প্রশাসনের দাবি, ইসরাইলি সেনারা এখনো শেজাইয়া, আল-তুফাহ, যায়তুন ও খান ইউনিসে অবস্থান করছে এবং ট্যাংক, ড্রোন ও সেনা যান ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে। এমনকি বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনে এখনো ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী রাফাহ সীমান্ত খোলার কথা থাকলেও, নেতানিয়াহু জানিয়েছেন এটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তার দাবি, “হামাস এখনো সব মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়নি, তাই সীমান্ত খোলা সম্ভব নয়।”
ফিলিস্তিনি পক্ষ বলছে, রাফাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সেই চুক্তিতে মানবিক সহায়তা প্রবেশ ও সীমান্ত খোলা ছিল প্রধান শর্তগুলোর একটি।
এদিকে, হামাস সতর্ক করেছে যে, রাফাহ সীমান্ত বন্ধ থাকলে ইসরাইলি বন্দিদের মরদেহ হস্তান্তর বিলম্বিত হবে। শনিবার রাতে সংগঠনটি দুই ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ ও আইএসএ।
গাজার মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায়, বিশ্লেষকরা বলছেন—রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতিকে আবারও ভাঙনের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।