ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান হামলার পরও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিরাপদ নয়। সমালোচকরা মনে করছেন, গাজার যুদ্ধকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার পরও নেতানিয়াহুর মুখোমুখি ৬টি গুরুতর চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে:
আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা: গাজায় ইসরাইলি হামলা ও মানবিক দুর্ভোগের কারণে দেশটি বিশ্বপরিসরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ব্যতীত নেতানিয়াহুর সরকার আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখোমুখি হবে।
কট্টর ডানপন্থী জোট সরকারের হুমকি: অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ ও নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভি জোট ভাঙার হুমকি দিয়েছেন। নেতানিয়াহু আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কট্টরপন্থী দলগুলোকে জোটে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
আইসিসি ও আইসিজে মামলা: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ও আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার মামলা বিবেচনা করছে। দোষী সাব্যস্ত হলে ৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের সীমাবদ্ধতা: ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সম্পর্ক তিক্ত। কাতারে হামাসের মধ্যস্থতাকারীদের ওপর ইসরাইলি হামলার কারণে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
৭ অক্টোবর হামলার ব্যর্থতার তদন্ত: সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা নিয়ে তদন্ত চলছে। যুদ্ধবিরতির পর হাইকোর্ট সরকারকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানানোর নির্দেশ দিয়েছে।
দুর্নীতি ও কারাভোগের সম্ভাবনা: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা চলমান। প্রমাণিত হলে ১০ বছরের জেল হতে পারে।
গাজা যুদ্ধবিরতির পর নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি।