ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের এক মাস পেরিয়ে গেছে। নতুন কমিটি কাজ শুরু করলেও এক বছরের ৩৬ দফা ইশতেহার বাস্তবায়নে কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
ছাত্রদের প্রধান সমস্যা হেল্থি খাবারের ঘাটতি। মাস্টারদা সূর্যসেন হলে সরজমিনে দেখা গেছে, রান্না করা খাবার স্যাঁতসেঁতে ও নোংরা পরিবেশে রাখা হচ্ছে। ছাত্ররা জানান, এখনও খাবারে পোকা পাওয়া যায়। হলের জিএস মোখলেসুর রহমান জাবি বলেন, “দীর্ঘদিনের পুরানো নিয়ম পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে, ছাত্রদের দাবিতে ক্যাটারার পরিবর্তন করা হবে।”
তবে কিছু উন্নতি লক্ষ করা গেছে। অমর একুশে হলের ক্যান্টিনে মান বাড়ছে, কারণ ফ্রি খাবার বিতরণ বন্ধ হওয়ায় মান ধরে রাখা সহজ হচ্ছে। এছাড়া দুইটি হলে নতুন বৈদ্যুতিক ফ্যান লাগানো হয়েছে এবং ৫টি স্থানে নারীদের মেনস্ট্রুয়াল সুরক্ষা ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা আবাসন সংকট এখনও অমীমাংসিত। ছাড়পোকার সমস্যা নিয়েও শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ জানান, “দুই মাসের মধ্যে ইশতেহারের অর্ধেকেরও বেশি পূরণ করার চেষ্টা করবো, তবে প্রশাসনের সহযোগিতা নেই এবং কিছু প্রভোস্ট হল পরিস্কার কাজে বাধা দিয়েছেন।”
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও বহু সমস্যায় জর্জরিত। নতুন ডাকসু কমিটির হাতে ১১ মাস বাকি, আশা করা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার বড় অংশ পূরণ হবে।