মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার ভেতরে গোপন অভিযান পরিচালনার জন্য সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে (সিআইএ) অনুমোদন দিয়েছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনকে নিশ্চিত করেন ট্রাম্প, যা দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার আরও আন্তর্জাতিক চাপে পড়বে।
বিবিসি জানায়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় যুক্তরাষ্ট্র অন্তত পাঁচটি হামলা চালিয়েছে, যাতে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনাগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
হোয়াইট হাউসে এক ভাষণে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে মাদক পাচারকারীদের ওপর আরও কঠোর অভিযান চালানোর কথা ভাবছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের এই অনুমোদনের ফলে সিআইএ ভেনেজুয়েলায় একতরফাভাবে কিংবা বৃহত্তর সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে পদক্ষেপ নিতে পারবে।
তবে সিআইএ আসলেই কোনো অভিযান শুরু করছে কিনা, নাকি এটি শুধুমাত্র প্রস্তুতিমূলক অনুমোদন—তা এখনও নিশ্চিত নয়। ইতিহাস বলছে, দক্ষিণ আমেরিকায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় ভূমিকার নজির বহু পুরনো।
ওভাল অফিসে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “আমি দুটি কারণে সিআইএকে অনুমোদন দিয়েছি—এক, তারা (ভেনেজুয়েলা) তাদের কারাগারের বন্দিদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে; দুই, মাদক চোরাচালান।”
তবে ভেনেজুয়েলা বন্দিদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে—এমন দাবির কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।