গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশে নতুনভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। প্রতিশ্রুতি দিলেও খোলা হয়নি মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতিসংঘকে এমনটাই জানিয়েছে তেলআবিব প্রশাসন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল এখন সর্বোচ্চ ৩০০টি ত্রাণবাহী ট্রাককে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে, যেখানে পূর্বে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন অন্তত ৬০০টি ট্রাকের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছিল। একই দাবিতে জাতিসংঘও বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এর পাশাপাশি, গাজায় জ্বালানি ও গ্যাস প্রবেশে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন ত্রাণ বিভিন্ন সীমান্তে আটকে আছে, যা গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত না দেয়, ততক্ষণ রাফাহ ক্রসিং বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে, পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে সোমবার হামাস ২০ জন জীবিত ও ৪ জন মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়। তবে এখনো ২৪ জনের মরদেহ গাজায় রয়ে গেছে।
এর আগে হামাস জানিয়েছিল, কয়েকজন জিম্মির মরদেহের অবস্থান তারা হারিয়ে ফেলেছে, কারণ যারা কবরের স্থান জানত, তারা নিহত হয়েছে অথবা যুদ্ধের কারণে এলাকাগুলোর চেহারা বদলে গেছে।
এদিকে, নিখোঁজ জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি দল নিয়ে একটি বিশেষ অনুসন্ধান টিম গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী সূত্রগুলো।