বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম যেন থামছেই না; বরং প্রতিদিনই ছুঁয়ে ফেলছে নতুন রেকর্ড। সোমবার (১৩ অক্টোবর) স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৪ দশমিক ২৯ ডলারে, যা সেশনের শুরুতে সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫৯ দশমিক ৩০ ডলারে পৌঁছায়। একই সময়ে ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য মার্কিন স্বর্ণের ফিউচার ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬২ দশমিক ৫০ ডলারে।
অন্যদিকে, রুপার দামও রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। স্পট সিলভারের দাম ২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৫১ দশমিক ৫২ ডলারে বেচাকেনা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে স্বর্ণের বাজারে নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে।
ক্যাপিটাল ডটকমের বিশ্লেষক কাইল রোডা বলেন,
“মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি স্বর্ণের জন্য তেমন অনুকূল না হলেও এখন মার্কিন-চীনের বাণিজ্য উত্তেজনা নতুন করে ঝুঁকি তৈরি করেছে।”
এর আগে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার রফতানির ওপর নতুন নিয়ন্ত্রণও আরোপ করেন, যা চীনের বিরল মাটির উপাদানকে প্রভাবিত করবে।
বেইজিং যদিও এই পদক্ষেপকে “ন্যায্য” বলে অভিহিত করেছে, তবুও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ থেকে বিরত রয়েছে।
গোল্ডম্যান শ্যাক্স জানায়, বেসরকারি বিনিয়োগের কারণে রুপার দাম মধ্যমেয়াদে আরও বাড়তে পারে। তবে স্বর্ণের তুলনায় রুপার বাজার কিছুটা অস্থির থাকবে।
গত এক বছরে ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ ক্রয় বৃদ্ধি, ফেডের সম্ভাব্য সুদহ্রাস ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থার কারণে স্বর্ণের দাম বেড়েছে প্রায় ৫৪ শতাংশ।
এছাড়া বিশ্ববাজারে প্লাটিনামের দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬২৮ দশমিক ৮০ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১ হাজার ৪৪২ দশমিক ০৬ ডলারে পৌঁছেছে।