সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন,
“মিশরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখের সম্মেলনে ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু আমি বা প্রেসিডেন্ট কেউই এমন প্রতিপক্ষের সঙ্গে বসতে পারি না যারা ইরানের জনগণের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমাদের হুমকি দিয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।”
চলতি বছরের ১৩ জুন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে অভিযোগের জেরে দেশটির ওপর সামরিক আগ্রাসন চালায় ইসরাইল। এতে ইরানের বহু সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। টানা ১২ দিনের তীব্র সংঘাতের পর ২৪ জুন উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
আরাঘচি আরও বলেন,
“গাজায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর গণহত্যা বন্ধ এবং সেনা প্রত্যাহারের যেকোনো উদ্যোগকে ইরান স্বাগত জানায়। ইরান সবসময়ই এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ছিল এবং থাকবে।”
গাজা সংঘাত নিরসনে আয়োজিত এই সম্মেলনে সহ-সভাপতিত্ব করবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আলোচনায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের কোনো প্রতিনিধি থাকবে না।
ট্রাম্পসহ ২০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ নেতারা এতে অংশ নিচ্ছেন, যার মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও।