তুরস্ক থেকে অবশেষে দেশে ফিরেছেন খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। দেশে ফিরেই দেশবাসী ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনের মুক্তির লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গণমাধ্যমের সামনে শহিদুল আলম বলেন,
“গাজা এখনো মুক্ত হয়নি। সেখানে আক্রমণ চলছে। আমাদের কাজ শেষ হয়নি। গাজার মানুষের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, তার তুলনায় আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা কিছুই না।”
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, তুরস্কের সূত্র অনুযায়ী শহিদুল আলমসহ অন্যান্য যাত্রীদের বহনকারী ইসরাইল থেকে ছেড়ে আসা একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ইস্তাম্বুলে অবতরণ করে। শহিদুল আলমের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান।
শহিদুল আলম ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন–এর নৌবহরে যুক্ত ছিলেন, যা গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিল। ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ নামের এ অভিযানে মোট ৯টি নৌযান অংশ নেয়, যেখানে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা ছিলেন। গত বুধবার এ বহরে ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালিয়ে সবাইকে আটক করে।
আটকের পর বাংলাদেশ সরকার জরুরি কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়, জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত দূতাবাসগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে শহিদুল আলমের দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করে।
মাত্র দুই দিন পরই তিনি মুক্তি পান এবং শনিবার ভোরে দেশে ফেরেন।