আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) সঙ্গে হওয়া কায়রো চুক্তি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, চলমান ‘স্ন্যাপব্যাক’ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের প্রেক্ষাপটে এখন নতুন এক কূটনৈতিক কাঠামোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, “ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি পুনর্গঠনের একমাত্র পথ হলো আলোচনা। ন্যায়সঙ্গত শর্ত মেনে চুক্তি করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”
জাতিসংঘ অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় দেশটি আবারও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। তবে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান প্রশাসন তাদের অবস্থান থেকে পিছু হটার কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না। বরং পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন কৌশল ও কূটনৈতিক কাঠামো তৈরিতে কাজ শুরু করেছে তেহরান।
আরাঘচি ইউরোপের তিন দেশ—ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার মতে, এসব দেশ ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রস্তাব উত্থাপন করে ইরানের অবস্থান ও ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা বজায় থাকা সত্ত্বেও ইউরোপের এমন পদক্ষেপকে “অযৌক্তিক ও একতরফা” বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় দেশগুলোর ভূমিকা ভবিষ্যৎ সংলাপে অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়বে।”
একই দিনে আরাঘচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন—IAEA’র সঙ্গে হওয়া কায়রো চুক্তি আর বহাল থাকছে না। তিনি জানান, ইরান এখন এমন এক নতুন কূটনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলবে, যার সঙ্গে আগের কোনো চুক্তির মিল থাকবে না।
Leave a Reply