দেশে রফতানি ও প্রবাসী আয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে, কিন্তু বিনিয়োগে পড়েছে ভাটা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি সম্ভব নয়—ফলে অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে রফতানি আয় বেড়েছে সাড়ে ৮ শতাংশ এবং রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ। কিন্তু একই সময়ে বিনিয়োগ কমেছে ১৫-২০ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে তারা নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগে দ্বিধায় আছেন।
বিজিএমইএর পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল বলেন,
“গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে টেকসই পরিকল্পনা করা যায়। কিন্তু অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে ঝুঁকতে চান না।”
ব্যাংক খাতেও ঋণপ্রবাহ স্থবির। অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন,
“নতুন বিনিয়োগ এখন খুবই কম। সবাই অপেক্ষা করছে নির্বাচিত সরকার কোন নীতি গ্রহণ করবে—বিশেষ করে সুদের হার ও বিনিময় হার নিয়ে।”
অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবিরের মতে,
“রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকলে দেশীয় বা বিদেশি বিনিয়োগ কেউই ঝুঁকি নেয় না। সময়মতো নির্বাচন ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ ছাড়া অর্থনীতি এগোবে না।”
দেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৯ শতাংশ, আর সর্বশেষ অর্থবছরে তা আরও কমে ১৩ শতাংশে নেমেছে। একই সময়ে বেকার হয়েছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং বিনিয়োগ বাড়াতে দ্রুত নির্বাচিত সরকার গঠন এখন সময়ের দাবি। তারা মনে করে, একটি সঠিক নির্বাচন ও সঠিক সরকার ব্যবস্থা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সাহায্য করবে
Leave a Reply