মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় নেতাদের আপত্তি উপেক্ষা করে শিকাগোতে ৩০০ জন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন। শনিবার (৫ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন এক বিবৃতিতে বলেন, “ফেডারেল অফিসার ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৩০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি আমেরিকার শহরগুলোর বিশৃঙ্খলার প্রতি চোখ বন্ধ করে থাকবেন না।”
ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর জে বি প্রিটজকার জানান, এই সিদ্ধান্ত আসে এমন সময় যখন শিকাগোতে মার্কিন বর্ডার প্যাট্রোল সদস্যদের গুলিতে এক সশস্ত্র নারী আহত হন। পরে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানায়, ওই নারীসহ একদল ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)-এর যানবাহনে গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য গুরুতর আহত হননি।
ঘটনার পর আইসিএস এজেন্টরা রাবার বুলেট ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শিকাগোর ব্রাইটন পার্ক এলাকায়, যেখানে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অতিরিক্ত “স্পেশাল অপারেশন” পাঠানোর ঘোষণা দেয়।
গভর্নর প্রিটজকার বলেন, “আজ সকালে পেন্টাগন থেকে আমাদের জানানো হয়, ফেডারেল সরকার চাইছে আমরা নিজেদের সেনা মোতায়েন করি, না হলে তারা করবে। এটি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অগ্রহণযোগ্য।” তিনি আরও যোগ করেন, “ট্রাম্পের জন্য এটি কখনোই নিরাপত্তার বিষয় নয়—এটি ক্ষমতার প্রদর্শন।”
অন্যদিকে ওরেগনের ফেডারেল আদালত শিকাগোর ঘটনার একই দিনে পোর্টল্যান্ডে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করে। মামলাটি দায়ের করেছিল রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসন। আদালত জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আইনবহির্ভূত এবং স্থানীয় শাসনের ওপর হস্তক্ষেপ।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প পূর্বেও লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটন ডিসি-তে ন্যাশনাল গার্ড পাঠিয়েছিলেন, যা আদালতে চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। আদালতের রায় অনুযায়ী, গার্ড মোতায়েন ছিল অবৈধ; তবে প্রশাসন সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, শিকাগো এলাকায় ক্রমাগত বিক্ষোভ চলছে, যেখানে শত শত মানুষ আইসিএস অফিসের বাইরে নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply