গত মাসের শুরুতে কাতারের দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরাইল যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, সেই হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল-হায়া। প্রায় এক মাস পর তিনি মুখ খুলেছেন গণমাধ্যমের সামনে।
৯ সেপ্টেম্বর গাজায় যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলাকালে দোহায় হামাসের একটি অফিস ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। ওই হামলায় ছয়জন নিহত হন, তাদের মধ্যে ছিলেন খলিল আল-হায়ার ছেলে হুমাম, তিনজন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
রোববার (৫ অক্টোবর) কাতারের সংবাদমাধ্যম আল আরাবিতে আগে থেকে রেকর্ড করা এক সাক্ষাৎকারে আল-হায়া বলেন,
“আমার কাছের মানুষ হারানোর বেদনা গাজা উপত্যকায় চলমান হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের চেয়ে বড় নয়।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“আমি আমার সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের হত্যাকে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যার থেকে আলাদা দেখি না। ইসরাইল যাদের হত্যা করেছে, তারা সবাই একই যন্ত্রণার শিকার।”
এই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে এবং কাতার গাজা যুদ্ধের আলোচনায় মধ্যস্থতা করা থেকে সরে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে কাতারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চান ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দোহায় ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হওয়ায় নেতানিয়াহু গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে ক্ষমা চান নেতানিয়াহু।
সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট
Leave a Reply