তুরস্ক গাজা যাওয়ার ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা-তে ইসরাইলের নৌহামলা ও বেশ কয়েকটি জাহাজ জব্দের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আটক থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় বেসামরিক জাহাজের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এই হামলা প্রমাণ করে যে, নেতানিয়াহু সরকারের ফ্যাসিবাদী ও সামরিক নীতি কেবল ফিলিস্তিনিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।” তুর্কি সরকার আটক তুর্কি নাগরিকদের মুক্তি নিশ্চিত করতে এবং হামলার অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছে।
ইস্বাবদ্ধ প্রতিবেদনে জানা যায়—গ্লোবাল সুমুদ জানিয়েছে তারা এখন পর্যন্ত ১৩টি জাহাজ জব্দকরণ ও দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক আটকসংক্রান্ত খবর পেয়েছে; তবু প্রায় ৩০টি জাহাজ এখনও গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। ফ্লোটিলার মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাহাজগুলোর মধ্যে ৩৭টি দেশের ২০১ জনেরও বেশি মানুষ ছিলেন — স্পেন ৩০, ইতালি ২২, তুরস্ক ২১, মালয়েশিয়া ১২ সহ অন্যান্য দেশের স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।
ফরাসি এমপি ও স্বেচ্ছাসেবক এমা ফোরো-কেও আটক করা হয়েছে; তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বকে অবরোধের সমালোচনা ও ফ্লোটিলার মিশন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফ্লোটিলার পক্ষ বলছে, ইসরাইলি বাঁধা তাদের থামাতে পারবে না; তারা অবরোধ ভাঙতে ও গাজায় একটি মানবিক করিডোর খুলতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক—বিশেষ করে গাজায় স্থাপিত অবরোধ ও আগ্রাসনের কারণে দুর্ভিক্ষ ও মানবিক সংকট চলছে।
Leave a Reply