ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। এভাবে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফ্লোটিলার অভিযাত্রী হলেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একাধিক পোস্টে শহিদুল আলম নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালির ওট্রান্টো থেকে ফ্লোটিলার বৃহত্তম জাহাজ ‘কনসায়েন্স’-এ চড়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি।
গত শনিবার ঢাকার শুক্রাবাদে দৃকপাঠ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম ঘোষণা দেন, গাজার চলমান নৃশংসতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরির অংশ হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (FFC) উদ্যোগে পরিচালিত ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’ অভিযানে যোগ দেবেন।
শহিদুল আলম বলেন, “ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে গাজায় মানুষ হত্যা করছে। পাশ্চাত্যের অনেক দেশও এতে সহযোগিতা করছে। তবে বিশ্বের অসংখ্য মানুষ এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ করছে। সেই প্রতিবাদের সঙ্গেই আমি যুক্ত হতে চাই।”
তিনি জানান, এবার প্রায় ৫০টির বেশি জাহাজ ফ্লোটিলায় অংশ নিচ্ছে। তার যাত্রা করা জাহাজে থাকবেন প্রায় ১০০ জন—এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ সাংবাদিক, এক-তৃতীয়াংশ চিকিৎসক এবং বাকিরা আয়োজক দলের সদস্য। এছাড়া আরও ১০টি ছোট নৌযান তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে। ৪৪টি দেশ থেকে প্রতিনিধিরা এই ফ্লোটিলায় অংশ নিয়েছেন।
শহিদুল আলমের পোস্ট অনুযায়ী, নৌবহর ইতোমধ্যে ইসরায়েলের ঘোষিত তথাকথিত ‘বিপৎসীমায়’ প্রবেশ করেছে। এই ফ্লোটিলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ২০১৮ সালে টাইম ম্যাগাজিনের পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি প্রথম এশীয় হিসেবে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো জুরির চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
Leave a Reply