ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের কাছে দাবি করেছিল—তারা যেন তাদের সমস্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করে। বিনিময়ে ওয়াশিংটন তিন মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চেয়েছিল। তবে এই প্রস্তাবকে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক থেকে তেহরানের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের পেজেশকিয়ান বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্র চায় আমরা আমাদের সমস্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম তাদের কাছে হস্তান্তর করি, বিনিময়ে তারা আমাদের তিন মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেবে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি আরও জানান, ফ্রান্সও একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রেসিডেন্টের ভাষ্য,
“কেন আমরা নিজেদের এমন ফাঁদে ফেলব এবং প্রতি মাসে আমাদের গলায় ফাঁস লাগাব?”
তার অভিযোগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় দেশগুলোকে সমঝোতা না করতে চাপ দিচ্ছে।
পেজেশকিয়ান পুনর্ব্যক্ত করেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো ইচ্ছা নেই। বরং ওয়াশিংটন ও তেল আভিভ ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে উৎখাত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়া শুরু করার পর, তেহরান ওই তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পরামর্শের জন্য দেশে ডেকে পাঠিয়েছে।জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ) এই মাসের শুরুতে জানিয়েছে, ১৩ জুন পর্যন্ত ইরানের হাতে থাকা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৪০.৯ কিলোগ্রামে, যা ১৭ মে থেকে ৩২.৩ কিলোগ্রাম বেশি।
Leave a Reply