জাতিসংঘ সদর দফতরে মঙ্গলবার সকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এস্কেলেটরে উঠতেই হঠাৎ সেটি থেমে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই মেলানিয়া প্রায় পড়ে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষের কাছে তাৎক্ষণিক তদন্ত দাবি করেছেন।
লেভিট এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ লিখেছেন, “যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি ওঠার সময় এস্কেলেটর থামিয়ে থাকে, তবে তাকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত ও তদন্তের আওতায় আনা উচিত।”
জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান আজিজ হক জানান, “সেফটি মেকানিজম দুর্ঘটনাবশত সক্রিয় হয়েছিল। দ্রুত রিসেট করে এস্কেলেটর সচল করা হয়েছে।” তবে ট্রাম্প দম্পতি থেমে যাওয়া এস্কেলেটরের ধাপ দিয়েই উপরে হেঁটে যান।
টাইমস অব লন্ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের কিছু কর্মী মজা করে আলোচনা করেছিলেন—এস্কেলেটর ও লিফট বন্ধ করে দিলে ট্রাম্পকে হাঁটতে বলা যাবে, এবং বাজেট সংকটের বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো যাবে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে জাতিসংঘের প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে ট্রাম্প হালকা রসিকতা করে বলেন, “আমি সাতটা যুদ্ধ শেষ করেছি, আর জাতিসংঘ থেকে পেয়েছি একটিমাত্র এস্কেলেটর—যেটা অর্ধেক পথে থেমে গেল।”
তিনি আরও বলেন, “যদি ফার্স্ট লেডির শারীরিক ফিটনেস ভালো না থাকত, তাহলে তিনি পড়ে যেতেন।”
ঘটনার পর সাবেক সিক্রেট সার্ভিস কর্মকর্তা রিচ স্টারোপোলি সমালোচনা করে বলেন, “এটা কঠিন কিছু নয়। এজেন্টদের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে ঘিরে সুরক্ষা দেওয়া।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা, সেটা না নিয়ে এজেন্টরা দাঁড়িয়ে ছিল। এটা উদ্বেগজনক।”
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply