ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্রতম হামলায় গাজা সিটিতে অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছেন। টানা বোমা ও গোলাবর্ষণে হাজারো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব এ আক্রমণকে “ভয়াবহ” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
মঙ্গলবার গাজা উপকূলীয় আল-রাশিদ সড়কজুড়ে মানুষের স্রোত দেখা গেছে—কেউ ভ্যানে, কেউ গাধার গাড়িতে আসবাব বহন করছেন, কেউ আবার হাঁটতে হাঁটতে শেষ সম্বল নিয়ে শহর ছাড়ছেন। প্রতিদিনের ভয়ংকর বোমাবর্ষণে বহুতল ভবন, ঘরবাড়ি, মসজিদসহ অসংখ্য অবকাঠামো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এদিন আইবাকি মসজিদসহ অন্তত ১৭টি আবাসিক ভবন ধ্বংস করা হয়। এমনকি পালাতে থাকা মানুষবাহী একটি যানবাহনকেও টার্গেট করে বোমা ফেলা হয়।
ইউরো-মেড মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা অন্তত ১৫টি বিস্ফোরকবাহী রোবট মোতায়েন করেছে, যা প্রত্যেকটি ২০টি পর্যন্ত ঘরবাড়ি ধ্বংস করতে সক্ষম। একইসঙ্গে ডজনখানেক ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান শহরের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের এই যুদ্ধ “গণহত্যা”—কারণ এতে ফিলিস্তিনিদের জাতি হিসেবে ধ্বংস করার “স্পষ্ট উদ্দেশ্য” দেখা যাচ্ছে। প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৯৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “গাজার পরিস্থিতি এখন এমন মানবিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে যা আর কোনোভাবেই বিলম্ব সহ্য করতে পারে না।”
আন্তর্জাতিক মহলেও ইসরায়েলবিরোধী ক্ষোভ বাড়ছে। জাতিসংঘ মহাসচিব এ যুদ্ধকে নৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনগতভাবে “অসহনীয়” বলেছেন। ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ডসহ একাধিক দেশ অবিলম্বে হামলা বন্ধ ও আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে।
Leave a Reply