ইসলামে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। কিন্তু আধুনিকতার নামে অনেক সময় মুসলিমরা পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে এমন কিছু কাজে লিপ্ত হয়, যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। এর মধ্যে অন্যতম হলো শরীরে ট্যাটু আঁকা।
ইসলামের দৃষ্টিতে শরীরে ট্যাটু আঁকা হারাম। এটি আল্লাহর সৃষ্ট সৌন্দর্যে স্থায়ী বিকৃতি ঘটায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন:
“আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর কাঠামোয় সৃষ্টি করেছি।” (সুরা তিন: ৪)
শয়তানও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, সে মানুষকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি বিকৃত করতে প্ররোচিত করবে (সুরা নিসা: ১১৭-১১৯)।
রাসুলুল্লাহ ﷺ ট্যাটু আঁকা ও আঁকানো উভয়কে অভিশপ্ত বলেছেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন:
“যে নারী ট্যাটু আঁকে এবং যে আঁকায়, উভয়ের ওপর আল্লাহর রাসুল ﷺ অভিশাপ দিয়েছেন।” (বুখারি ৫৫৯৮; মুসলিম ৫৬৯৩)
ট্যাটু শরীরে পানি পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে অজু ও গোসল শুদ্ধ হয় না। অজু-গোসল শুদ্ধ না হলে নামাজও সহীহ হবে না। একই নিয়ম অস্থায়ী আঁকাজোকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যদি পানি চামড়ায় পৌঁছাতে না পারে।
যার শরীরে ট্যাটু আছে, তাকে যথাসাধ্য চেষ্টা করে ট্যাটু উঠাতে হবে এবং আল্লাহর কাছে তওবা ও ইস্তিগফার করতে হবে। তবে নামাজ বাদ দেওয়া যাবে না। যতদিন ট্যাটু থাকবে, ততদিন নামাজও আদায় করতে হবে। আল্লাহ তাআলা দয়ালু ও ক্ষমাশীল।
Leave a Reply