কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক নিন্দা শুরু হয়েছে।
হামাসের দাবি, এ হামলায় তাদের পাঁচজন সদস্য নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ নেতা খালিল আল-হাইয়ার ছেলে। এছাড়া কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন।
কাতার সরকার এ হামলাকে “ cowardly act” বা কাপুরুষোচিত কাজ আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি।
আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া:
ফ্রান্স এ হামলাকে “অগ্রহণযোগ্য” বলেছে।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, এটি কাতারের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন।
সৌদি আরব এটিকে “নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসন” বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলের চলমান গাজা যুদ্ধ আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪,৬০৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৬৩,৩১৯ জন আহত হয়েছেন। হাজারো মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। অন্যদিকে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে আটক করা হয়েছিল।
দোহায় এই হামলার পর ইসরায়েল ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সম্পর্ক আরও সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সূত্র আল জাজিরা
Leave a Reply