দীর্ঘদিনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঋণ খেলাপির কারণে ব্যাংক বহির্ভূত ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল ও অবসায়নের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি মাসেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীদের অর্থ কীভাবে ফেরত দেওয়া হবে?
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আর্থিক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বর্তমানে ২৭ হাজার কোটি টাকার বেশি, যার অর্ধেকেরও বেশি জড়িয়ে আছে এই ৯ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩’ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম মূল্যায়ন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রাথমিকভাবে অবসায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন,
“৯টি প্রতিষ্ঠান যাচাই করে দেখেছি। তারা যে উত্তর দিয়েছে, সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ব্যবসা পরিচালনার যোগ্যতা হারিয়েছে। তবে যেসব আমানতকারী আছেন, তাদের ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।”
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পাশাপাশি আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপও জরুরি। বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন,
“যেসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার যোগ্যতা হারিয়েছে, সেগুলো বন্ধ করাই শ্রেয়। তবে এদের দায়ভার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যয় করা উচিত নয়। যেসব প্রতিষ্ঠানের ৯০ শতাংশের বেশি ঋণ খেলাপি, সেগুলোর ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব।”
তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে থাকা ১৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপির হার অনেক কম। সেখানকার মোট ৪৯ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে মাত্র ৩ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা খেলাপি।
Leave a Reply