মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেন্টাগনের নাম পরিবর্তন করে “ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার” বা যুদ্ধ মন্ত্রণালয় হিসেবে পুনঃব্র্যান্ড করার নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। শুক্রবার (স্থানীয় সময়) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি অনেক বেশি উপযুক্ত নাম। আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে।”
সিএনএন প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আদেশে বলা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও দপ্তরগুলো এখন থেকে “সেক্রেটারি অব ওয়ার”, “ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার” এবং “ডেপুটি সেক্রেটারি অব ওয়ার” পদবি ব্যবহার করতে পারবে। ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ শুরু হয়েছে—প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের অফিসের সাইনবোর্ড পরিবর্তন করা হয়েছে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট defense.gov এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে war.gov-তে রিডাইরেক্ট হচ্ছে, যেখানে শিরোনামে লেখা “U.S. Department of War।”
হেগসেথ বলেন, “এটি শুধু নাম পরিবর্তন নয়, বরং পুনরুদ্ধার। এখন থেকে আমরা শুধু প্রতিরক্ষার জন্য নয়, আক্রমণাত্মক কৌশলেও এগোবো। আমাদের সেনারা হবে যোদ্ধা, শুধু রক্ষক নয়।”
তবে নাম পরিবর্তন স্থায়ী করতে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগতে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে নিশ্চিত না হলেও বলেন, “আমি জানি না কংগ্রেসের অনুমতি লাগবে কিনা, তবে আমরা তা বের করব।”
প্রসঙ্গত, ১৭৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন প্রথম “ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার” নামে মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ১৯৪৯ সালে জাতীয় নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী এর নাম পরিবর্তন করে বর্তমান “ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স” করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিরক্ষা সচিব হেগসেথ বাইডেন প্রশাসনের কিছু সিদ্ধান্ত উল্টে দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে সামরিক ঘাঁটির নাম পুনরায় কনফেডারেট যুগের নাম ফিরিয়ে আনা এবং একটি জাহাজের নাম পরিবর্তন, যা আগে সমকামী অধিকার আন্দোলনকর্মী হার্ভে মিল্কের নামে রাখা হয়েছিল।
Leave a Reply