রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমাদের চাপ উপেক্ষা করে ইউক্রেনে অভিযান চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এমনকি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকিও পুতিনকে দমাতে পারছে না। ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন ইউক্রেনের আরও অঞ্চল দখলে নিতে চান এবং যুদ্ধ বন্ধের প্রশ্নে কোনও ছাড় দিতে নারাজ।
সূত্রগুলোর মতে, পুতিন মনে করেন রাশিয়ার অর্থনীতি ও সামরিক শক্তি পশ্চিমাদের যেকোনো নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করতে যথেষ্ট সক্ষম। পশ্চিমা অর্থনৈতিক চাপের চেয়ে মস্কোর কৌশলগত লক্ষ্যগুলোই তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি ট্রাম্প ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রসহ আরও অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ৫০ দিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
তবুও, পুতিন এসব হুমকি আমলে নিচ্ছেন না। এক সূত্র বলেছে, ‘খাওয়ার সাথে সাথে ক্ষুধা বাড়ে’—রুশ বাহিনীর অগ্রগতির সাথে পুতিনের অঞ্চল দখলের আগ্রহ বাড়ছে।
সূত্র বলছে, পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার ট্রাম্পের ফোনালাপ এবং মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়া সফরের পরও শান্তি আলোচনার ভিত্তিতে বাস্তব কোনো অগ্রগতি হয়নি। পুতিন মনে করেন, তাঁর শর্তগুলো যথাযথভাবে আমলে নেওয়া হয়নি।
পুতিনের শান্তির শর্তসমূহ:
ন্যাটো আর পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ করবে না—এমন আইনি অঙ্গীকার
ইউক্রেন নিরপেক্ষ থাকবে
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী সীমিত করতে হবে
রুশভাষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত
রাশিয়ার আঞ্চলিক লাভ স্বীকৃতি দিতে হবে
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, দখলকৃত ভূখণ্ড কখনোই রাশিয়াকে স্বীকৃতি দেবে না এবং ন্যাটোর সদস্য হওয়া কিয়েভের সার্বভৌম অধিকার।
ইতোমধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। শুধু গত তিন মাসেই ১,৪১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
এই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আনা কেলি মন্তব্য করেছেন, যুদ্ধ শুরুর জন্য বাইডেন প্রশাসনই দায়ী, কারণ তাদের সময়েই ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদন
Leave a Reply