ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধে গাজায় সৃষ্টি হয়েছে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি, যার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে শিশুদের ওপর। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (UNRWA) জানায়, তাদের পরিচালিত ক্লিনিকগুলোতে যেসব শিশু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসেছে, তাদের প্রতি ১০ জনে একজন মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।
এমন বাস্তবতায় মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ৬১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে ২৩ জন নিহত হন শাতি শরণার্থী শিবিরে এবং ২ জন নিহত হন রাফাহর বিতর্কিত মার্কিন-সমর্থিত GHF সাইটের কাছে।
ইসরায়েল পূর্ব লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে ১২ জনকে হত্যা করেছে। পাশাপাশি, দক্ষিণ সিরিয়ার সুয়াইদা শহরেও হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে দ্রুজ জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সিরিয়ান নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে।
এদিকে, কোলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় বিশ্বের ৩০টি দেশের নেতৃবৃন্দ ও কূটনীতিকরা একত্র হয়েছেন। তাদের মূল লক্ষ্য:
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করা
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৮,৪৭৯ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১,৩৯,৩৫৫ জন।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলায় ইসরায়েলে নিহত হন প্রায় ১,১৩৯ জন, এবং ২০০ জনের বেশি মানুষ জিম্মা করে নিয়ে যাওয়া হয়।
Leave a Reply