1. arshinagargroup75@gmail.com : Rofiqul Islam : Rofiqul Islam
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে চলছে আন্তর্জাতিক পর্যালোচনা, সিদ্ধান্তে থাকবে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত

রনি আহম্মেদ
  • Update Time : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ১১৮ Time View

বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে আসছে বড় ধরনের পরিবর্তন। ২০২৭ সাল থেকে নতুন একটি নৈতিক, মানবিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৬টি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মডেল পর্যালোচনা শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। পাশাপাশি, এ শিক্ষাক্রম প্রণয়নে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে সাতবার শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১২ সালের সৃজনশীল পদ্ধতির রদবদল এবং ২০২১ সালের মুখস্থ নির্ভরতা কমানো শিক্ষাক্রম ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে সমালোচকরা বলছেন, আর্থসামাজিক বাস্তবতায় অনেক পরিকল্পনা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নযোগ্য ছিল না।

বর্তমানে যেসব দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, চীনসহ আরও কয়েকটি উন্নত দেশ। অস্ট্রেলিয়ায় যেমন রয়েছে ভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন শিখন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলভিত্তিক দক্ষতা নির্ভর মূল্যায়ন এবং ফিনল্যান্ডে অনুসন্ধানভিত্তিক ও অভিজ্ঞতানির্ভর শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ভাবনার জগৎকে সমৃদ্ধ করে। চীনের শিক্ষা ব্যবস্থায় ভাষা, গণিত, কারিগরি, নৈতিকতা ও উদ্ভাবনমূলক চিন্তার ওপর জোর দেওয়া হয়।

তবে এসব দেশের মডেল হুবহু গ্রহণ করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, দেশে এখনো মানসম্পন্ন শিক্ষক ও প্রশিক্ষকের অভাব রয়েছে, পাশাপাশি স্কুল-কলেজ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধাও সীমিত।

এনসিটিবির বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ জাইর আল ফারুকী বলেন, “শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতা, আন্তরিকতা এবং শ্রেণিকক্ষে চর্চার ক্ষেত্রেই মূল চ্যালেঞ্জ রয়েছে।”

এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শগত ভিন্নতা এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখেই এনসিটিবি জানিয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কাঠামো তৈরি করা হবে। ক্ষমতায় আসা দলই তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, “সংবিধান ও নীতিগত স্পষ্টতা ছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি মজবুত করা সম্ভব নয়। অতীতের শিক্ষানীতিগুলোতে বহু অসঙ্গতি ছিল, যা নতুন শিক্ষাক্রমে প্রতিফলিত হওয়া উচিত নয়।”

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার মনে করেন, একবারে বড় পরিবর্তনের পরিবর্তে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাই হবে সঠিক পথ।

এদিকে সচেতন অভিভাবকরা চান, এমন শিক্ষা ব্যবস্থা হোক যা শুধুমাত্র কোচিং কিংবা নোটবই নির্ভরতা নয়, বরং শিশুদের চিন্তাশক্তি, মানবিকতা ও সমস্যার সমাধান করার সক্ষমতা তৈরি করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © arshinagar tv 2025
Design & Develop BY Coder Boss