ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় দুর্বলতা স্পষ্ট হওয়ার পর চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক HQ-9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সংগ্রহ করেছে ইরান, যা তেলের বিনিময়ে অর্জন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই ও মিলিটারি ওয়াচ ম্যাগাজিন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রতিরক্ষা কৌশলে এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সোভিয়েত নির্মিত S-300 সিস্টেমের আদলে তৈরি HQ-9 চীনের নিজস্ব সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম, যা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রে থাকে ১৮০ কেজি বিস্ফোরক। এটি ফিক্সড-উইং এয়ারক্রাফট, ক্রুজ মিসাইল ও কিছু ব্যালিস্টিক মিসাইলও ভূপাতিত করতে সক্ষম।
গত এপ্রিলের সংঘাতে ইসরায়েল একাধিক সফল বিমান হামলা চালায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায়, যা ইরানের এয়ার ডিফেন্সের দুর্বলতা সামনে নিয়ে আসে।
এই পরিস্থিতিতে তেহরান দ্রুত প্রতিরক্ষা ঘাটতি পূরণের কৌশল হাতে নেয়, যার অংশ হিসেবে HQ-9 সিস্টেম চীনের কাছ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় ইরান সরকার।
চুক্তিটি মূলত একটি বার্টার চুক্তি— অর্থাৎ আর্থিক লেনদেন নয়, তেলের বিনিময়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর।
এই পদক্ষেপে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে কৌশলগত পার্টনারশিপ গড়ে তুলছে বেইজিং ও তেহরান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধুমাত্র সামরিক প্রযুক্তির বিনিময় নয়, বরং ভূরাজনৈতিক অক্ষ তৈরি করার প্রচেষ্টা।
চীন এখানে যুক্ত হয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষা জোটে, এবং এশিয়ার জ্বালানি বাজারেও নিশ্চিত করেছে নিজেদের প্রভাব।
মিডল ইস্ট আই–এর রিপোর্ট অনুযায়ী, হোয়াইট হাউস এই চুক্তি সম্পর্কে অবগত, এবং বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।
ইরান যদি HQ-9 সিস্টেম কার্যকরভাবে মোতায়েন করে, তবে এটি ইসরায়েলি ড্রোন ও বিমান হামলার বিরুদ্ধে বড় প্রতিরোধ হয়ে উঠতে পারে।
সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে পারে?
ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন
চীন-ইরান প্রতিরক্ষা জোট আরও শক্তিশালী হওয়া
মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ভারসাম্য পুনর্গঠনের সম্ভাবনা
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত প্রতিক্রিয়া
Leave a Reply