শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করলেও শেষ পর্যন্ত হতাশার দিন কাটলো বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ-এর। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে যখন তিনি ড্রেসিংরুমে বসে কফিতে চুমুক দিচ্ছিলেন, তখন মাঠে নেমে যায় টাইগার ব্যাটিং লাইনআপে ধস।
মাত্র ২৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক ফিরে যান সাজঘরে। তাসকিনের ভাষায়—
“আমি ড্রেসিংরুমে বসে কফি খাচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট পড়ে গেছে! এটা মানতে কষ্ট হচ্ছিল। ক্রিকেট কতটা অনিশ্চিত, সেটা আবার মনে করিয়ে দিলো এই ম্যাচ।”
এই ম্যাচের ব্যাটিং ধস শুধু হতাশাজনক নয়, বরং আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ৭ উইকেট পতনের ঘটনাও বটে।
২০০৮ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ে ১ উইকেট পড়ার পর ৭ উইকেট হারিয়েছিল মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে। এই ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৭ উইকেট মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে—ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় খারাপতম।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফরমার ছিলেন তাসকিন আহমেদ। মাত্র ৪৭ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪টি মূল্যবান উইকেট। শ্রীলঙ্কাকে ৫০ ওভার না খেলেই ২৪৪ রানে অলআউট করে ফেলে বাংলাদেশ। অথচ সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টাইগার ব্যাটিং ব্যর্থতার আরেকটি অধ্যায় যোগ করলো।
তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। পরের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৫ আগস্ট। সেই ম্যাচেই হেরে গেলে সিরিজ খোয়াবে মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।
তাসকিন আশাবাদী পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে দল।
“সবাই ভুল থেকে শিখবে বলে বিশ্বাস করি। আমরা আরও শক্তভাবে ফিরব।” — বলেছেন তাসকিন।
Leave a Reply