গাজা শহরের উত্তরে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলার পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো উপত্যকায়। জবরদস্তি উচ্ছেদের হুমকি দিয়ে হাজারো ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণে সরে যেতে নির্দেশ দেয়ার পরই শুরু হয় এই বোমাবর্ষণ। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হতে পারে ইসরায়েলি স্থল হামলার প্রস্তুতির অংশ।
রবিবার (৩০ জুন) ভোর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দেইর আল-বালাহতে আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল লক্ষ্য করে চালানো হামলায় অনেক বেসামরিক ব্যক্তি আহত হন বলে নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৬,৫৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৩৩,৬৪২ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের চালানো আক্রমণে ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে অপহরণ করা হয়।
এই ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কায়রো এক নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কিছু ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি চাওয়া হচ্ছে।
এই উদ্যোগকে গাজার জন্য সাময়িক স্বস্তি আনার একটি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
Leave a Reply