জ্বালানি তেলের বাজারে ফের মন্দাভাব। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমিত হওয়া এবং ওপেক প্লাস জোটের সম্ভাব্য উৎপাদন বৃদ্ধির আভাসে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এক শতাংশের মতো হ্রাস পেয়েছে।
ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই উভয়েই নিম্নমুখী
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (৩০ জুন) আগস্ট মাসের ডেলিভারির জন্য ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৬ সেন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭.১১ ডলারে, যা শতাংশের হিসাবে ০.৯৭% হ্রাস। সেপ্টেম্বর মাসের চুক্তির দামও কমে ৬৫.৯৭ ডলার হয়েছে।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯৪ সেন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ কমে এখন ৬৪.৫৮ ডলার।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ে ব্রেন্টের দাম ৮০ ডলার ছুঁয়ে ফেলেছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পরই সেই উত্তাপ প্রশমিত হয় এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।
ওপেক প্লাসের নজর বাড়তি উৎপাদনের দিকে
ওপেক প্লাস সূত্র জানিয়েছে, মে, জুন ও জুলাইয়ে ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন বাড়ানোর পর আগস্ট মাসে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে ৬ জুলাইয়ের জোট বৈঠকে। এটি হবে করোনা পরবর্তী উৎপাদন হ্রাস সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পঞ্চম ধাপ।
মার্কিন রিগ কার্যক্রমে ধীরগতি
উৎপাদনের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চিত্র ভিন্ন। বেকার হিউজেস-এর তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে মার্কিন তেল রিগের সংখ্যা ছয়টি কমে ৪৩২-তে দাঁড়িয়েছে—যা অক্টোবর ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন। এর পেছনে আংশিক কারণ হতে পারে বাজারে তেলের দামের অস্থিরতা এবং উৎপাদনে বিনিয়োগ হ্রাস।
বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট
আইজি মার্কেটস-এর বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির ফলে তেলের দামে যে ভূরাজনৈতিক প্রিমিয়াম যুক্ত ছিল, তা এখন হ্রাস পেয়েছে। বাজার এখন স্বাভাবিক চাহিদা-জোগানের ওপর বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।”
Leave a Reply