বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাদা পোশাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব থেকেও অবশেষে সরে দাঁড়ালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এর মধ্য দিয়ে তিন ফরম্যাটেই শান্তর অধিনায়কত্ব অধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলো।
আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল— শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের পর নেতৃত্ব ছেড়ে দেবেন তিনি। গুঞ্জনটা এবার সত্য হলো। শনিবার মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ও ৭৮ রানে পরাজয়ের পরপরই শান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শান্তকে। হুট করেই বিসিবি মেহেদী হাসান মিরাজকে ওয়ানডে অধিনায়ক ঘোষণা করে। এ ঘটনায় গভীরভাবে আঘাত পেয়েছিলেন শান্ত— এমনটাই জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।
সূত্রটি ‘ক্রিকবাজ’-কে বলেছে,
“আমি তাকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। যেভাবে তার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে, এতে সে খুশি না।”
এর আগেও শান্ত তিন ফরম্যাট থেকেই নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন। তবে তৎকালীন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের অনুরোধে টেস্ট ও ওয়ানডে নেতৃত্বে থেকে যান তিনি।
এবার অবশ্য শান্ত নিজেই বলেন—
“আমার মনে হয় না এখন তিন ফরম্যাটে তিনজন আলাদা অধিনায়ক দরকার। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। আমি আগেই ক্রিকেট অপারেশনসকে জানিয়ে দিয়েছি।”
টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শান্তর যাত্রা শুরু হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় এক জয়ে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ কিউইদের ১৫০ রানে হারিয়েছিল।
তবে নেতৃত্বের শেষটা রাঙাতে পারলেন না শান্ত। শেষ টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হার দিয়েই অধিনায়কত্ব অধ্যায়ের ইতি টানলেন।
শান্তর অধিনায়কত্ব পরিসংখ্যান:
মোট টেস্ট: ১৫, জয়: ৪, ড্র: ১, পরাজয়: ১০
এতসব পরিসংখ্যানের মাঝেও একটি কৃতিত্ব শান্তর নামের পাশে থাকছে—
বাংলাদেশের ইতিহাসে একাধিক টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জয় তার অধীনে এসেছে।
Leave a Reply