মার্কিন হামলার প্রতিশোধে ইরান যে ‘কঠোর জবাব’ দিতে দ্বিধা করবে না, তা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যেকোনো আগ্রাসন হলে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন এক ‘ঐতিহাসিক শিক্ষা’ দেওয়া হবে, যা তারা কখনও ভুলবে না।
রবিবার ইরান থেকে কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দেওয়া এক বিবৃতিতে পাকপুর এই বার্তা দেন। তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষা শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, প্রতিশোধের ভাষা। আর এবার তা স্পষ্ট।”
কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (CENTCOM) মূল অগ্রবর্তী সদর দফতর হিসেবে কাজ করে। সেখানে ইরানের হামলাকে তেহরান বর্ণনা করেছে “শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী” প্রতিশোধ হিসেবে—যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর চালানো হামলার জবাব।
এই হামলার মাধ্যমে ইরান স্পষ্ট করেছে, পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিগুলোও এখন আর নিরাপদ নয়।
কমান্ডার পাকপুর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক অজ্ঞ ও বেপরোয়া সিদ্ধান্তে ইরানে হামলার নির্দেশ দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র আল-উদেইদ ঘাঁটিতে আঘাত হানে।” তিনি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন।
ইসরাইলের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের একচোখা সমর্থনের কড়া সমালোচনা করে পাকপুর বলেন, “এই আগ্রাসন আসলে ইসরাইলি স্বার্থ রক্ষার ছুতোয় মধ্যপ্রাচ্যকে উত্তপ্ত করে তোলার চেষ্টা। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে বুঝতে হবে, এই আগুনে তারাও পুড়বে।”
আইআরজিসি প্রধান আরও বলেন, “আমাদের ভূখণ্ডে ভবিষ্যতে কোনো মার্কিন আগ্রাসন হলে তা আরও ভয়াবহ, ভাঙচুরমূলক এবং অনুশোচনাপূর্ণ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেবে। যা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
Leave a Reply