যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা যখন চূড়ায়, ঠিক তখনই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করতে মস্কো সফরে যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। রোববার (২২ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।
ইস্তাম্বুলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আরাঘচি জানান, রাশিয়া ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং কৌশলগত অংশীদার। তিনি বলেন, “আমরা পারস্পরিক উদ্বেগ ও কৌশলগত ইস্যুতে নিয়মিত মতবিনিময় করি এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সমন্বিত পরিকল্পনায় কাজ করি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাশিয়া হলো ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি—জেসিপিওএ’র অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ। আগামীকাল সোমবার (২৩ জুন) পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে এ চুক্তির ভবিষ্যৎ ও সাম্প্রতিক আঞ্চলিক উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
মার্কিন বিমান হামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে আরাঘচি বলেন, “এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (NPT) গুরুতর লঙ্ঘন।” একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “এই হামলার চিরস্থায়ী পরিণতি ভোগ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।”
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “ইরান তার সার্বভৌমত্ব, স্বার্থ এবং জনগণের সুরক্ষায় সবধরনের বৈধ পদক্ষেপ গ্রহণের অধিকার রাখে।” এই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পর ইরান ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরসহ বেশ কিছু স্থাপনায় মিসাইল হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এই সফর এবং বৈঠক শুধু দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন মাত্রা দেবে না, বরং পারমাণবিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অস্থিরতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
Leave a Reply