ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নতুন উচ্চতায়: মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার ঝড় বইছে। একদিকে চলছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, অন্যদিকে ইরান বলছে—তারা এখনো কূটনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী।
শুক্রবার ভোরে ইরান একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মধ্য ইসরায়েলে, যাতে হোলন শহরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর পাল্টা জবাবে ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা—যেখানে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র।
এই সংঘাতের মধ্যেও, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আ ব্বাস আরাঘচি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ, এবং আমরা এখনো কূটনৈতিক আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে, এর আগে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।”
এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) প্রধান আইয়াল জামির জানান, ইসরায়েল “দীর্ঘমেয়াদি অভিযান” পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, এটি ইরানে টানা নবম দিনের হামলা, এবং পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের সম্ভাবনা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডের, যিনি বলেছিলেন যে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রমাণ নেই। ট্রাম্প তার মন্তব্যকে “ভুল ও বোকামিপূর্ণ” বলে উল্লেখ করেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
এরইমধ্যে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) সতর্ক করে বলেছে, ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় “তেজস্ক্রিয় ও রাসায়নিক দূষণের ঝুঁকি” রয়েছে ইসরায়েলি হামলার কারণে। তবে তারা জানায়, এখনো পর্যন্ত স্থাপনাটির বাইরে রেডিয়েশনের মাত্রায় কোনো অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি।
বিশ্ব সম্প্রদায় যখন শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে, তখন যুদ্ধের ঘনঘটা আরও বাড়ছে। দুই দেশের অবস্থান এখন আর শুধু প্রতিরোধে সীমাবদ্ধ নয়—বরং দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply