মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ মোড় নিচ্ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে ‘বিলুপ্ত’ করা এখন ইসরায়েলের ঘোষিত যুদ্ধলক্ষ্য। এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, যা শুধু যুদ্ধ নয়, দুই দেশের মধ্যে পরমাণু উত্তেজনাকেও জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরান মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি হলো সোরোকা মেডিকেল সেন্টার। এসব হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ইসরায়েলি নাগরিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তর না দিয়ে ইসরায়েল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরানের আরাক হেভি ওয়াটার পারমাণবিক চুল্লিতে বিমান হামলা চালিয়ে। এই হামলা বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দেশের উত্তেজনাকে নতুন পারমাণবিক সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এখনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে তিনি পরিস্থিতিকে “চরম উদ্বেগজনক” বলে মন্তব্য করেছেন। এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো হামলা “গম্ভীর ও অপূরণীয় পরিণতি” বয়ে আনবে।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত: ২৪০+, এর মধ্যে ৭০ নারী ও শিশু
ইরানি হামলায় ইসরায়েলে নিহত: অন্তত ২৪ জন
এই পরিস্থিতি প্রমাণ করছে যে, দ্বিপাক্ষিক আঘাত এখন আর সামরিক স্থাপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই—এটি স্পষ্টত বেসামরিক জনগণের ওপরও ছড়িয়ে পড়ছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Leave a Reply