বিশ্বব্যাপী মুসলিম পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী গন্তব্য হিসেবে আবারও শীর্ষে স্থান করে নিল মালয়েশিয়া। গ্লোবাল মুসলিম ট্রাভেল ইনডেক্স (GMTI) ২০২৫-এ এক নম্বর অবস্থানে উঠে এসে দেশটি প্রমাণ করল, মুসলিমবান্ধব পর্যটনের মানদণ্ডে তারা এখনো অপ্রতিদ্বন্দ্বী। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি মালয়েশিয়ার দশমবারের মতো টানা এই অর্জন।
সিঙ্গাপুরে আয়োজিত চতুর্থ ‘হালাল ইন ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’-এ মালয়েশিয়ার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন দেশটির পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপমন্ত্রী খাইরুল ফিরদাউস আকবর খান।
সম্মিলিত উদ্যোগের সফলতা
পুরস্কার গ্রহণের পর উপমন্ত্রী বলেন,
“এই স্বীকৃতি কেবল আমাদের জন্য গর্বের নয়, বরং মালয়েশিয়ার পর্যটন খাতের সকল অংশীদারের সম্মিলিত পরিশ্রমের প্রতিফলন। আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি নিরাপদ, সম্মানজনক ও আস্থাশীল ভ্রমণ পরিবেশ গড়ে তোলা — যেখানে মুসলিম পর্যটকরা নিজের মতো করে উপভোগ করতে পারবেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইসলামিক ট্যুরিজম সেন্টারের MFAR প্রকল্প ও মুসলিম-বন্ধু ট্যুরিস্ট গাইড সার্টিফিকেশন কর্মসূচি মালয়েশিয়ার ট্যুরিজম খাতে গুরুত্বপূর্ণ নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
কেন মালয়েশিয়া মুসলিম পর্যটকদের প্রথম পছন্দ?
ক্রিসেন্টরেটিং এবং মাস্টারকার্ডের যৌথভাবে পরিচালিত GMTI সূচকে মূলত নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর ভিত্তিতে গন্তব্যগুলোকে মূল্যায়ন করা হয়:
হালাল খাবারের সহজলভ্যতা
নামাজের উপযোগী সুবিধা
পারিবারিক ভ্রমণের উপযোগিতা
সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংবেদনশীলতা
এই চারটি স্তম্ভে মালয়েশিয়া বহু বছর ধরেই এগিয়ে। আধুনিক হালাল সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুসলিমবান্ধব ট্যুর গাইড এবং সর্বত্র নামাজের ব্যবস্থা—এই দেশটিকে মুসলিম পর্যটকদের জন্য অন্যতম নিরাপদ এবং অভিজাত গন্তব্যে পরিণত করেছে।
‘ভিজিট মালয়েশিয়া ইয়ার ২০২৬’–এ নতুন দিগন্ত
২০২৬ সালকে সামনে রেখে ‘ভিজিট মালয়েশিয়া ইয়ার’-এর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দেশটি। উপমন্ত্রী খাইরুল ফিরদাউস বলেন,
“আমাদের ঐতিহ্য, উৎসব, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আতিথেয়তা বিশ্বের সকল পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। মালয়েশিয়া শুধুই একটি গন্তব্য নয়—এটি একটি অভিজ্ঞতা।”
Leave a Reply