ইরানের পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তেল আবিবের বাত ইয়াম এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। একটি আবাসিক ভবনের নিচে কমপক্ষে ৩৫ জন আটকা পড়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন।
শনিবার মধ্যরাতে ইরানের ছোড়া দ্রুতগতির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সরাসরি আঘাতে বাত ইয়ামে একাধিক ভবন ধসে পড়ে। আহত হয়েছেন ৭৪ জন, যার মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে রেহোবত এলাকায় আহত হয়েছেন আরও ২৮ জন।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) তেহরানের শাহরান তেল স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান এই পাল্টা হামলা চালায়।
আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ইরানের হামলায় তেল আবিব, জেরুজালেম ও হাইফা—সব শহরের আকাশে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে। বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান এই হামলায় কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে সরাসরি আঘাত হানে।
এদিকে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলের অন্যতম অস্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স’ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির একটি গবেষণা ভবনে আগুন ধরে গেলে সেখানে অনেক গবেষক আটকা পড়ে যান। সেই আগুন লাগার দৃশ্য ধরা পড়ে ইনস্টিটিউটের সিসিটিভি ক্যামেরায়।
ইসরায়েলি মিডিয়া বলছে, বাত ইয়াম এলাকার পরিস্থিতি এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের মতো। একটি ভবনের নিচে আটকা পড়া ৩৫ জনের মধ্যে অনেকেই মৃত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চলছে, তবে ধ্বংসস্তূপে প্রবেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এই যুদ্ধ পরিস্থিতির সূত্রপাত ঘটে ইসরায়েলের ‘বিনা উসকানিতে’ পরিচালিত বিমান হামলার মাধ্যমে, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও পরমাণু সংশ্লিষ্ট স্থাপনা।
ইরানের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮০ জন এবং আহত ৮০০ জন, যার মধ্যে ২০ জন শিশু রয়েছে।
ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল ইরানের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা, যাদের অনেকেই এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
Leave a Reply