দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের চাপে কিছুটা স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে ২০২৫ সালের মে মাসের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, মাসওয়ারি ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্য ও অখাদ্য উভয় খাতে হ্রাস পেয়েছে মূল্যচাপ।
মে মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে ৯.০৫ শতাংশে, যা গত এপ্রিল মাসে ছিল ৯.১৭ শতাংশ। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে ০.১২ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে মূল্যস্ফীতি।
খাদ্যসামগ্রীর দামে ভোক্তা পর্যায়ে সামান্য হলেও ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
এপ্রিল: খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৬৩%
মে: নেমে এসেছে ৮.৫৯ শতাংশেহ্রাস: ০.০৪ শতাংশ পয়েন্ট
অন্যদিকে, অখাদ্য (non-food) পণ্যের মূল্যস্ফীতিও কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৪২ শতাংশে, যা এপ্রিলে ছিল ৯.৬১%।
সার্বিক মূল্যস্ফীতি: ৯.০৫% (এপ্রিলের তুলনায় ০.১০% কম)
খাদ্য মূল্যস্ফীতি: ৮.৩০%
অখাদ্য মূল্যস্ফীতি: ৯.৭৫%
সার্বিক মূল্যস্ফীতি: ৯.৫০% (০.০৯% কম)
খাদ্য মূল্যস্ফীতি: ৯.২৯%
অখাদ্য মূল্যস্ফীতি: ৯.৬৩%
যদিও একক মাসে এই হ্রাস অনেক বড় ব্যবধান তৈরি না করলেও, এটি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার এক ক্ষীণ ইঙ্গিত হতে পারে। তবে এখনও ৯ শতাংশের ওপরে থাকা মূল্যস্ফীতির হার অনেকেরই জীবনযাত্রায় চাপ বাড়িয়ে চলেছে—বিশেষ করে শহরে যেখানে খাদ্য ও অখাদ্য উভয় খাতে ব্যয় তুলনামূলক বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বালানি খরচ, পণ্য পরিবহন ও বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির উপর নজর রেখে টেকসই মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
Leave a Reply