বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে আজ যুক্ত হলো আরেকটি নতুন অধ্যায়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করলেন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট হলেও, আজকের এই উপস্থাপনাটি ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম বাজেট।
কিন্তু বাংলাদেশের ৫৩টি পূর্ববর্তী বাজেট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—এদের এক বিশাল অংশের পেছনে ছিল মাত্র দুই অর্থমন্ত্রীর অসাধারণ দাপট।
তারা হলেন: এম সাইফুর রহমান এবং এ এম এ মুহিত।
এই দুজনই ১২টি করে বাজেট পেশ করেছেন, যা মিলে দাঁড়ায় মোট ২৪টি বাজেট—অর্থাৎ দেশের সার্বিক বাজেট ইতিহাসের প্রায় ৪৫%।
প্রথম বাজেট: ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮১-৮২, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে।
পরবর্তীতে দুই দফা বিএনপি সরকারের আমলে ১০টি বাজেট পেশ করেন।
মোট: ১২টি বাজেট।
প্রথম বাজেট: ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪, প্রেসিডেন্ট এরশাদের শাসনামলে।
দ্বিতীয় দফা: ২০০৯-২০১৮, টানা ১০টি বাজেট।
মোট: ১২টি বাজেট।
শাহ এ এম এস কিবরিয়া (আওয়ামী লীগ সরকার): ৬টি বাজেট
এ সাইয়েদুজ্জামান: ৪টি বাজেট
তাজউদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমান: ৩টি করে বাজেট
সর্বশেষ বাজেটটি পেশ করলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, যিনি ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আজ বিকেল ৩টায় একযোগে টেলিভিশন ও রেডিওতে সম্প্রচারিত হয় তার বাজেট উপস্থাপন।
এই বাজেট শুধু একটি আর্থিক দলিল নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বার্তা—যেখানে অতীতের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যতের অস্থিরতা দুটিই গুরুত্ব পেয়েছে।
বাংলাদেশের বাজেট প্রণয়নে দীর্ঘসময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে যাওয়া মন্ত্রীরা দেশের অর্থনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে বড় ভূমিকা রেখেছেন। সাইফুর রহমান ও মুহিতের পরবর্তী প্রজন্মের অর্থনীতিবিদদের সামনে রয়েছে চ্যালেঞ্জ—এই ধারা বজায় রেখে বাজেটকে প্রজন্মবান্ধব, টেকসই ও উদ্ভাবনী করে তোলা।
Leave a Reply